মুখের ব্রন দূর করার উপায় - ব্রন দূর করার ক্রিম

প্রিয় পাঠক আপনি কি  মুখের ব্রন দূর করার উপায় - ব্রন দূর করার ক্রিম সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন?  তাহলে আজকের আর্টিকেলটি পড়ে জানতে পারবেন কিভাবে মুখের ব্রন দূর করা যায়। কি ক্রিম ব্যবহার করলে মুখের ব্রন দূর করা যাবে। এ সকল তথ্য আজকের আর্টিকেলে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

মুখের ব্রন দূর করার উপায়

সুন্দর ব্রনমুক্ত ত্বক আমরা সবাই চায়। মুখে ব্রন ও ব্রনের দাগ আমাদের মুখের সৌন্দর্য অনেকটাই কমিয়ে দেয়। আমাদের সবাই প্রায় এ ব্রন নামক সমস্যা নিয়ে ভোগান্তিক। ব্রন এবং ব্রনের দাগ কমিয়ে আপনার ত্বক সুন্দর ও উজ্জল হবে সঠিক যত্ন নিলে। চলুন বিস্তারিত জেনে নিই কিভাবে ব্রনের মতো সমস্যাকে দূরে সরিয়ে আপনার ত্বক ব্রনমুক্ত করবেন।

মুখের ব্রন দূর করার উপায়

আমরা সবাই সুন্দর ত্বকের প্রত্যাশি। দাগহীন ত্বকে সৌন্দর্য ফুটে উঠে। মুখের ব্রন ত্বকের একটি সমস্যা। এ সমস্যা বিভিন্ন কারনে হয়ে থাকে। জীবানুর সংক্রামন, ত্বকের সঠিক যত্ন না নেওয়া, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অস্বাস্থকর খাবার, ঘুমের ঘাটতি ইত্যাদি।  ব্রনমুক্ত ত্বক পেতে হলে আপনাকে পরিশ্রম করতে হবে। নিতে হবে ত্বকের জন্য সঠিক যত্ন। কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যেগুলো আপনি অনুসরন করে সঠিকভাবে যত্ন নিলে মুখের ব্রন ভালো করতে পারবেন। চলুন জেনে নিই ব্রন দূর করতে আমরা কি ঘরোয়া উপায় গুলো করবো। 

লেবুর রস ও হলুদ: লেুবুর রসে থাকে ভিটামিন সি যা আপনার ত্বকের জন্য বেশ উপকারি। লেুবুর রসের সাথে হলুদ মিশিয়ে মুখে লাগালে ব্রন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

বরফ: বরফ ব্যবহারে আপনি সহজেই মুখের ব্রন দূর করতে পারেন। ব্রনের ওপর বরফ লাগালে ব্রন তাড়াতাড়ি ছোট হয়ে যায়। অনেক সময় ব্রন বের হলে ব্রনগুলো ব্যাথ্যা করে। সেই ব্যাথ্যা বরফে দূর হয়।

অ্যালোভের: অ্যালোভেরার রস ত্বকের জন্য খুবই উপকারি। অ্যালোভেরা জেল ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নেই এবং ব্রন কমায়। এর জন্য আপনি ব্রন কমাতে অ্যালোভেরার জেল সারারাত মুখে লাগিয়ে রেখে দিন। সকালে পরিষ্কার করে নিন।

শসা: শশা ত্বকের তেলতেলে ভাবকে দূরে সরিয়ে ত্বককে ব্রন মুক্ত করে। এ জন্য ব্রনকে দূরে সরাতে নিয়মিত শসার রস মুখে লাগাবেন। 

চন্দন ও হলুদ: এ দুটো উপাদান ত্বকের জন্য বেশ উপকারি। পরিমানমতো চন্দন ও কাঁচা হলুদের গুড়ো এবং তার সাথে সামান্য পানি দিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে নিন। এরপর স্ক্রাবটি আপনার মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট মতো রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ব্রনের সমস্যা কমে যাবে। 

মুলতানি মাটি: ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষন করে ত্বককে ব্রনের হাত থেকে রক্ষা করে মুলতানি মাটি। মুলতানি মাটি পানি দিয়ে পেস্ট করে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষন পর ধুয়ে নিন। ব্রন কমে যাবে। 

তুলসি পাতা: তুলসি পাতায় থাকে আয়ুর্বেদিক গুন। তুলসি পাতার রস যেখানে ব্রন বের হয়ে আছে শুধু সে স্থান গুলোতে লাগিয়ে রেখে শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন। ব্রন অল্পদিনেই চলে যাবে। 

ডিম ও মধু: একটি ডিমের সাদা অংশ ও তার সাথে ১ চা চামচ মধু দিয়ে ভালো করে মিক্স করে নিন। এবার মিক্স করা উপাদানটি আপনার ব্রনযুক্ত ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট মতো রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, ব্রন থেকে মুক্তি পাবেন। 

পুদিনা পাতা: পুদিনা পাতা ব্রন দূর করতে কাজ করে। টাটকা পুদিনা পাতা বেটে ব্রনের ওপর লাগিয়ে রেখে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে নিন। 

পেঁপে ও চালের গুড়া: অপরিষ্কার ত্বকে ব্রন বের হয়। তাই ত্বককে পরিষ্কার করতে পাকা পেঁপের অল্প একটু অংশ নিয়ে সেটাকে চটকে তার সাথে চালের গুড়া মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট মতো রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন, ব্রন কমে যাবে।

উপরের বলা টিপসগুলো ব্রন কমাতে ফলো করুন। আশা করি নিয়মিত করলে ব্রন অনেকটাই কমে যাবে।

ব্রন দূর করার ফেসওয়াস

ত্বকের উজ্জলতা নষ্ট হয়ে যায় ব্রন নামক সমস্যার কারনে। মুখে ব্রন বের হলে অনেক সময় দেখা যায় ব্রন চলে গেছে কিন্তু ব্রনের কালো দাগ ও ছোট গর্ত মুখে থেকে যায়। ত্বকে তেলতেলে ভাব আমাদের মুখে ব্রন ডেকে আনে। তাই এমন ফেসওয়াশ ব্যবহার ব্যবহার করতে হবে। যেগুলো ব্যবহারের ফলে মুখের তৈলাক্ত ভাব চলে যায়। চলুন কিছু ফেসওয়াশের সাথে পরিচিত হয় যেগুলো ব্যবহারে ব্রন দূর হবে।

ডার্মালজিকা ব্রেকআউট ক্লিয়ারিং ওয়াশ: এ ফেসওয়াশে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড রয়েছে যা ত্বককে জীবানুর হাত থেকে রক্ষা করে। আরও রয়েছে কমলালেবুর খোসার নির্যাস যা ত্বকের তেল শোষন করে ত্বককে ব্রনের হাত থেকে রক্ষা করে। 

সিম্পল ডেইলি স্কিন ডিটক্স পিউরিফায়িং ফেসিয়াল ওয়াশ: জিঙ্ক আর থাইমের গুনে সমৃদ্ধ এই ফেসওয়াশটি মুখের তেল শোষন করে ত্বককে ভেতর থেকে পরিষ্কার করে এবং ব্রনের সমস্যা দূর করে। 

নিউট্রাজিনা অয়েল ফ্রি অ্যাকনে ওয়াশ: এ ফেসওয়াশটি মেডিকেটেড ফেসওয়াশ। এটি ব্যবহারে ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর হয় এবং ত্বককে ব্রনমুক্ত কওে, ত্বককে সুন্দর করে তোলে। 

পন্ডস পিম্পল ক্লিয়ার ফেসওয়াশ: এ ফেসওয়াশটিতে সক্রিয় থাইমো-টি এসেন্স ফর্মুলা রয়েছে যা আপনার ত্বকে পরিষ্কার করবে তার সাথে ত্বককে ব্রন মুক্ত করবে। 

পিয়ার্স আল্টামাইল্ড ফেসওয়াশ ইন অয়েল ক্লেয়ার গ্লো: এ ফেসওয়াশটি লেবু ফুলের নির্যাশে তৈরি । এটি ব্যবহারের ফলে ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর হয় এবং ত্বক হয় কোমল ও দাগহীন। 

এ ফেসওয়াশ গুলো পুরোপুরি আপনার ত্বকের ব্রন দূর করবে না। তবে নতুন করে ব্রন বের হবে না। দিনে দুইবারের বেশি ফেসওয়াশ ব্যবহার করবেন না। সবার ত্বকে একই রকমের ফেসওয়াশ ম্যাচ করেনা তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিতে পারেন। শুধু ফেসওয়াশ আপনার ব্রনের দাগ দূর করবেনা। তার সাথে আপনাকে পর্যাপ্ত পানি ও স্বাস্থকর খাবার খেতে হবে। কোন খাবার গুলো খাবেন জানতে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন। 

আরো পড়ুন: চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার উপায়

ব্রন দূর করার ক্রিম

মুখে লালচে, দানাদার ব্রন। ছেলে ও মেয়ের উভয়ের জন্য এ ব্রন দুশ্চিন্তার কারন। আয়নার  সামনে দাড়ালেই মুখ ভর্তি ব্রন দেখে মন খারাপ হয়ে যায়। ত্বকে থাকে এক ধরনের তৈলাক্ত ব্যাকটেরিয়া। এই ব্যাকটেরিয়া মাত্রা বেড়ে গেলে ত্বকের ভেতর পুজ জমা হতে থাকে শেষ পর্যায়ে সেটা ব্রনের আকার নেয়। ব্রনের সমস্যা দূর করতে এখন অনেক পদ্ধতি বের হয়েছে। তাই চিন্তার কোনো কারন নেয়। ইচ্ছাশক্তি ঠিক থাকলে ব্রনের সমস্যাকে দূর করা যায়। কিছু ক্রিম আছে যেগুলো ব্যবহারে অনেকের ব্রন ভালো হচ্ছে। ঘরোয়া পদ্ধতির পাশাপাশি  এ ক্রিম গুলো ব্যবহার করতে পারেন। চলুন ব্রন দূর করার ক্রিম গুলোর সাথে পরিচিত হয়।

গার্নিয়ার একনো ফাইট সিক্স ইন ওয়ান পিম্পল ক্লিয়ারিং ক্রিম: তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এ ক্রিমের কার্যকারিতা অনেক। পুদিনা ও লেবুর নির্যাসে তৈরি এ ফেসওয়াশটি ত্বকের গভিরে গিয়ে ত্বক পরিষ্কার কওে ও  ত্বকে সজিবতা এনে দেয়। ত্বককে ময়েশ্চারাইজার করে তোলে । ব্রনের হাত থেকে রক্ষা করে। 

নোভাক্লিয়ার এনি ক্রিম: তৈলাক্ত ত্বকে ব্রনের প্রবনতা বেড়ে যায়। ত্বকের তেলতেলে ভাবকে দূরে সরিয়ে ব্রন বের হওয়া কমায়। এ ক্রিম বিভিন্ন উপাদানে তৈরি।  এ ক্রিমের একটিভ উপাদান হিসেবে আছে স্যালিসাইলিক এসিড প্যানথেনল এবং স্কুয়ালেনা। যা ত্বকের ব্রন দূর করতে কাজ করে। এছারাও এ ক্রিমে আছে ফুলের নির্যাস এবং অন্যান্য হার্বাল উপাদান যা স্কিনকে সতেজ এবং ব্রনমুক্ত করে। 

ইরম্যাকনে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল  ক্লিনজিং ফেসিয়াল জেল: গ্রিন টি এর নির্যাসে তৈরি এ ক্রিমটি মুখের ময়লা দূর করে। ব্রনের ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে এবং নতুন ব্রন বের হওয়া থেকে বাঁচায়। 

ডার্মাডিকস অ্যান্টি একনি সিয়াম সিরাম: এ ফেসওয়াশটির মাল্টি একটিভ ফর্মূলা ব্রনকে দূরে সরায় ব্রনের লালচে দাগ দূর করে আপনার ত্বককে উজ্জল ও ময়েশ্চারাইজার করে তোলে। 

নোভাক্লিয়ার একনি ক্রিম: অয়েলি ত্বকের জন্য এ ক্রিমের কার্যকারিতা অনেক। এ ক্রিমের একটিভ উপাদান ত্বকের ময়লা দূর করে , ত্বকের লালচে ভাব দূর করে ব্রনকে বিদায় দেয়।

আমাদের মুখের ত্বক খুব নরম হয়ে থাকে। তাই ত্বকে সব ধরনের প্রোডাক্ট ব্যবহার করা ঠিক নয়। ব্রন থেকে মুক্তি পেতে প্রথমে ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করবেন। তাতে ব্রন ভালো না হলে ডাক্তারের পরমর্শ নিবেন। সবার ত্বক একরম নয়। সবার ত্বক যেমন আলাদা তেমনি সবার ত্বকের সমস্যাও আলাদা। তাই যেকোনো ক্রিম ব্যবহারে ডাক্তারের পরমর্শ নিয়ে নিবেন।

ব্রন দূর করার ওষুধ

ত্বকের এক জটিল সমস্যা এই ব্রন। খুবই বিরক্তিকর একটি সমস্যা এই ব্রন। যাদের মুখে ব্রন বের হয় তারাই কেবল জানে এই ব্রন কতো দুশ্চিন্তার কারন। তবে এই দুশ্চিন্তা দূর করতে এখন অনেক পদ্ধতি বের হয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো ব্রন মুক্তির ওষুধ। চলুন ওষুধগুলোর নাম জেনে নিই-

মেয়েদের জন্য ব্যবহৃত ওষুদের নাম:

একনি জেল: এই ওষধটি ব্রন দূর করার জর্ন ব্যবহার করা হয়। ১২ বছরে উপরে যাদের বয়স তারাই শুধু এ ওষুধটি ব্যবহার করতে পারবে। শরীরের শুধু ত্বকে ব্যবহার করার জন্য এ ক্রিমটি। এ ওষধটি খাবারের  জন্য নয়। প্রাপ্তবয়স্করা দিনে ৬ ঘন্টা পর পর ব্যবহার করবেন। তবে এ ক্রিমের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেমন- বমি বমি ভাব, পেট ব্যাথ্যা ইত্যাদি। তাই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিবেন।

এডামেন ডুই জেল: দ্রুত ব্রন দূর করে এই ওষুধটি। ব্রনযুক্ত ত্বকের জন্য বেশ উপকারি এই ক্রিমটি। আক্রান্ত স্থান ভালো করে পরিষ্কার করে। এ ক্রিমটি দিনে একবার ব্যবহার করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে মুখে ভিতর অথবা চোখে না যায়। 

ফ্রেশলুক জেল: ব্রন আক্রান্ত ত্বকে এ ক্রিম খুবই কার্যকর। ১২ বছরের নিচে ব্যবহার করা যাবে না। ব্রনযুক্ত স্থান ভালো করে পরিষ্কার করে ব্যবহার করতে হবে। প্রতিদিন একবার অল্প করে ব্যবহার করতে হবে। 

এছারাও এ ওষুধ গুলো ব্যবহার করতে পারেন। ডারমোছ, বারবেরিস একো ডি থ্রি, বায়লেড ইত্যাদি।

আরো পড়ুন: স্থায়ীভাবে শ্যামলা ত্বক ফরসা করার উপায়

ছেলেদের জন্য ব্যবহৃত ওষুধ:

  • ট্রেভিটা টেন ১০ এম জি ক্যাপসুল
  • আইসোবেস্ট ১০ এম জি ক্যাপসুল
  • সোট্রেট ১০ এম জি ক্যাপসুল

এছারাও ব্রনের আরও কিছু ওষুধ রয়েছে। যেমন- (Acnegel, Aclen Plus, Fresh Look, No Mark Gel) এগুলো ব্যবহার করতে পারেন। তবে ডাক্তারের পরমর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ সেবন করা ঠিক নয়।

ব্রন দূর করার খাবার

ব্রন একটি অস্বস্তিকর বিষয়। ব্রনের কারনে আমাদের মুখের সৌন্দর্য বোঝা যায় না। ফরসা হলেও মুখে ব্রন আমাদের সৌন্দর্যকে কেড়ে নেই। ত্বকের সমস্যা দূর করতে আমাদের খাদ্য তালিকায় নজর দেওয়া জরুরি। কিছু খাবার আছে যা খেলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করবে , ত্বককে ব্রনের হাত থেকে রক্ষা করবে। চলুন জেনে নিই ব্রন দূর করতে আমরা কি খাবো।

পানি: পর্যাপ্ত পানি আমাদের শরীরে থাকা দূষিত পদার্থ গুলোকে বের করে আনে। যার কারনে ব্রন থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। 

তরমুজ: এই ফলে থাকে ভিটামিন এ, ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি। এসব উপাদান থাকার কারনে তরমুজ খেলে ব্রন দূর হয়। 

দই: দইয়ে থাকা অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুন ত্বককে পরিষ্কার করে এবং ব্রন থেকে মুক্তি। তাই দই খাওয়র চেষ্টা করবেন। 

আখরোট: আখরোট খাওয়া ত্বকের জন্য বেশ উপকারি। ত্বকের মসৃনতা ও কোমলতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং ব্রনকে দূরে রাখে। 

কমলা: ব্রনের হাত থেকে বাঁচতে কমলা খাবেন। এর ফলে শরীর থেকে দূষিথ পদার্থ বের হয় এবং ত্বককে ব্রনমুক্ত করে। 

বাদাম: বাদামে থাকে ওমোগো থ্রি সমৃদ্ধ ফ্যাটি এসিড। যা আপনার ত্বকের তেলতেলে ভাব দূর করে এবং ত্বক সুস্থ ও ব্রনমুক্ত রাখে।

গাজর: গাজরে থাকে ভিটামিন এ। আর ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার ত্বকের ব্রন কমায়। 

লাল আঙ্গুর: লাল আঙ্গুরে থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা ত্বককে ব্রন মুক্ত করে। 

টমেটো: টমেটোতে লাইকোপেন রয়েছে যা ত্বককে হাইড্রেট রাখে এবং ত্বকে থাকা ব্রন দূর করে। 

টুনা জাতীয় মাছ: এ জাতীয় মাছ প্রায় আপনার খাদ্যতালিকায় রাখার চেষ্টা করবেন। এ সকল মাছে ওমেগো থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে যা ত্বককে ব্রনের হাত থেকে বাঁচায়। 

উপরের খাবার গুলো ছাড়াও আপেল, রাসবেরি, রসুন, পালংশাক, পেঁপে, শসা, গাঢ় রঙের সবজি ইত্যাদি খাবেন। ত্বকের ব্রন দূর করবে।

ব্রন হলে কি খাওয়া উচিত নয়

কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে ব্রনের সমস্যা দূর হয়। আবার কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে আমাদের ত্বকে ব্রনের সমস্যা বাড়িয়ে। ব্রনমুক্ত ত্বক পেতে সে খাবারগুলো আমাদের পরিহার করতে হবে। চলুন জেনে নিই ব্রন হলে কি খাওয়া উচিত নয়। 

দুগ্ধজাতীয় খাবার: দুধ মানব দেতে অনেক উপকার। তবে ব্রনযুক্ত ত¦কে ব্রনের সমস্যা আরও বেড়ে যায় । তাই ব্রন দূরে রাখতে দুধ, পনির এড়িয়ে চলুন। 

পাউরুটি: আমরা প্রায় আমাদের সকালের খাদ্য তালিকায় পাউরুটি রাখি। পাউরুটিতে থাকে গ্লুটোন উপাদান যা খেলে ব্রন বেড়ে যায়। তই ব্রন হলে পাউরুটি খাবেন না। 

আলুর চিপস: অতিরিক্ত পরিমানে শর্করা ব্রনযুক্ত ত্বকে ভালো নয়। ব্রনকে আরও বাড়িয়ে দেয়। তাই ব্রন এড়াতে এ খাবার এড়িয়ে চলুন। 

চিনি: অতিরিক্ত চিনি জীবানু যুক্ত ত্বকে খেলে ত্বকের জীবানু আরও বেড়ে যায়। তাই ত্বককে ভালো রাখতে চিনি এড়িয়ে চলুন। 

অ্যালকোহল: ব্রন যুক্ত ত্বকে অ্যালকোহল পরিহার করতে হবে। 

এছারাও খাবেন না তৈলাক্ত খাবার, সোডা, ডার্ক চকোলেট, কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার, কফি, লবনাক্ত খাবার ইত্যাদি। যাদের ব্রন হওয়ার প্রবনতা বেশি তারা এ খাবারগুলো এড়িয়ে চলুন।

পরিশেষে বলতে চায় ব্রনমুক্ত ত্বক পেতে বেশি করে পানি পান করুন, পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমান, ক্ষতিকর ক্যামিকাল থেকে ত্বককে দূরে রাখুন এবং সঠিকভাবে ত্বকের যত্ন নিন। মুখের ব্রন নিয়ে অনেক তথ্য তুলে ধরেছি। আশা করি উপকৃত হবেন।

লেখকের শেষ বক্তব্য

মুখের ব্রন দূর করার উপায় - ব্রন দূর করার ক্রিম সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি মুখের ব্রন দূর করার উপায় - ব্রন দূর করার ক্রিম সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে।

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন
comment url