মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং - মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা খরচ

প্রিয় পাঠক, আপনি কি মালয়েশিয়া ভ্রমন করতে যেতে চান? তবে কিভাবে যাবেন, খরচ কত হতে পারে বুঝতে পারছেন না। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। কারন আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং সম্পর্কে। মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা সম্পর্কে যারা জানতে আগ্রহী তারা আজকের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। আজকের আর্টিকেলে মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিংসহ সকল তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং

এশিয়ার মধ্যে সুন্দর দেশগুলোর তালিকায় আছে মালয়েশিয়া। ভ্রমনপ্রিয় মানুষদের পচ্ছন্দের তালিকায় থাকে এ দেশ। প্রকৃতির সকল সৌন্দর্য যেন এ দেশে ঢেলে দেওয়া। পুরো দেশে রয়েছে সবুজের সমারহ, চারদিকে পাহাড় আর দ্বীপ তার সাথে পাহাড়ি রাস্তা। তাই বিভিন্ন দেশের পর্যটকদের সে দেশে যেতে আকৃষ্ট করে তোলে। মালয়েশিয়া যাওয়ার আগে মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা সম্পর্কে সকল তথ্য জেনে নেওয়া ভালো। চলুন জেনে নেওয়া যাক মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা সম্পর্কে যাবতীয় তথ্যগুলো।

মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা করতে কি কি লাগে

দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার দেশ হলো মালয়েশিয়া। ভ্রমনপিয়াসী মানুষদের জন্য খুবই পচ্ছন্দের একটি জায়গা। প্রতিবছর বিভিন্ন দেশ থেকে লাখো পর্যটক ভ্রমন করতে আসে এ দেশের সৌন্দর্য দেখতে। বাংলাদেশেরও অনেক মানুষ এ দেশে ভ্রমন করতে আসে। মালয়েশিয়া আপনারা যারা ভ্রমন করতে চান, প্রথমে তাদের অবশ্যই জানতে হবে মালয়েশিয়া ভ্রমন করতে কি কি লাগে। তবে আপনি কোন ভিসায় যাবেন, সে ভিসার ওপর নির্ভর করবে কি কি কাগজ লাগবে। জেনে নিন মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা করতে কি কি লাগে। 

  • অরজিনাল পাসপোর্ট, যার মেয়াদ থাকতে হবে কমপক্ষে ৬ মাসের।
  • ৬ মাসের ব্যাংক স্টেটমেন্ট জমা দিতে হবে, ব্যাংক স্টেটমেন্টের অরজিনাল কপি জমা দিতে হবে। একা ভ্রমন করলে ১ লক্ষ টাকা আপনার অ্যাকাউন্টে থাকতে হবে, ফ্যামিলি নিয়ে করলে টাকার পরিমান একটু বেশি লাগবে। কমপক্ষে ২ লক্ষ টাকা, ব্যাংকের সাথে লেনদেন থাকলে ভালো। 
  • পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি, ছবি অবশ্যই সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের হতে হবে।
  • মালয়েশিয়া একবার ভ্রমন করা থাকলে, সেই ভিসার কপি।
  • ভ্রমনের কারন উল্লেখ করে আবেদনপত্র। 
  • ফিরতি বিমানের টিকেট কপি।
  • আমান্ত্রনে কিংবা চাকরিসূত্রে যে কারনে যান না কেন সেটার একটা লেটার থাকতে হবে।
  • করোনা ভ্যাকসিনেশন কার্ড। 
  • বিদুৎ বিলের কাগজ
  • মালয়েশিয়ার হোটেল বুকিংয়ের কপি। 
  • কমপক্ষে ৩ মাসের আর্থিক স্বচ্ছলতার প্রমান দিতে হবে।

উপরে মালয়েশিয়া ভিসা করতে কি লাগে সেগুলো আলোচনা করেছি। তবে কি কারনে যাচ্ছেন সেটার ওপর নির্ভর করে মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা করার জন্য তথ্য লাগবে এবং আপনি কি করছেন, আপনার বয়স কেমন সে অনুযায়ী কিছু আলাদা তথ্য লাগবে।

মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা কতদিন লাগে

মালয়েশিয়া যারা ভ্রমন করতে চান তাদের মালয়েশিয়া যাওয়ার  জন্য প্রথমে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার জন্য উপরের বলা ডকুমেন্ট সাথে নিয়ে ভিসা কেন্দ্রে চলে যাবেন। সেখানে গেলেই, সেখানকার কর্মকর্তারা আপনাকে ভিসা প্রসেসিং করার নিয়ম সম্পর্কে সাহায্য করবে। এছারা অনলাইনেও আবেদন করতে পারেন।

মালয়েশিয়া ভিসার আবেদন প্রক্রিয়ার কাজ সম্পন্ন হতে সাধারনত ১০ থেকে ১৫ দিন সময় লাগে। আবেদন করার ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যেই ভিসা চলে আসার কথা। তবে ভিসার ধরন অনুযায়ী কমবেশি হতে পারে । যারা দালালের খপ্পরে পড়ে, তাদের ভিসা আসতে আরও সময় লেগে যায়। আপনার ভিসা আবেদন করার পর যদি প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে আবার নতুন করে আবেদন করতে পারবেন। ভিসা পাওয়ার পর, ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই আপনাকে মালয়েশিয়ায় পৌঁছাতে হবে। মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার মেয়াদ ৩ মাস পর্যন্ত হয়ে থাকে। আবেদনের পর ভিসা হাতে পেলে, ভিসা বের হবার ৩ মাসের মধ্যেই আপনাকে দেশে ফিরে আসতে হবে।

মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা খরচ

বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে অসংখ্যা মানুষ মালয়েশিয়া যাচ্ছে। কেউ যাচ্ছে চাকরিক্ষেত্রে, কেউ পড়াশোনা করতে কেউবা ভ্রমন করতে। মালয়েশিয়া দেশটা অনেকটায় উন্নত দেশ। তাই বাংলাদেশের মানুষেরা সেখানে বিভিন্ন কাজের জন্য পারি জমাচ্ছে। সেখানে পরিশ্রম কম, আয় বেশি। মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ভিসা এখন বাংলাদেশে চালু করা আছে। যার মধ্যে একটি ভিসার নাম হচ্ছে টুরিস্ট ভিসা। আপনারা যারা টুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়া ভ্রমন করতে যেতে চান তাদের অবশ্যই মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা খরচ কত হয় সে বিষয়ে জানতে হবে। 

মালয়েশিয়া যেতে সবার ক্ষেত্রে একই রকম খরচ হয় না। কারও ক্ষেত্রে কম আবার কারও ক্ষেত্রে বেশি হতে পারে। বাংলাদেশের মানুষেরা যারা টুরিস্ট ভিসায় যেতে চাচ্ছেন তাদের ভিসা খরচ খুব একটা বেশি হবে না। মালয়েশিয়া প্রসেসিং ফি ধার্য করা হয়েছে ৫৮০০ টাকা। বর্তমানে সকল খরচসহ টুরিস্ট ভিসায় মালয়েশিয়া যেতে চাইলে ২ থেকে ৩ লক্ষ মতো খরচ হতে পারে। এখনকার সময়ে দালালের হাতে পড়ে খরচ বেশি হয়ে যাচ্ছে। সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যাওয়ার সুযোগ থাকলে, সেক্ষেত্রে খরচ কম হবে। তবে মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসার খরচ নিয়ে সঠিক কোনো তথ্য বলা যাবে না। আপনি কিভাবে যাচ্ছেন, কারোও মাধ্যমে যাচ্ছেন কিনা সেটার ওপর খরচ নির্ধারিত হবে। 

মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা চেক

বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষদের মালয়েশিয়া যাওয়ার প্রবনতা বেড়েই চলেছে। মালয়েশিয়া যেতে হলে প্রথমে আপনাকে মালয়েশিয়ান ভিসা প্রস্তুত করতে হবে। ভিসা ছাড়া আপনি ঐ দেশে যেতে পারবেন না।  এরপর ভিসা আসলে আপনাকে চেক করে নিতে হবে, ভিসা ঠিকভাবে হয়েছে কিনা। বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষ এখন দালালের মাধ্যমে মালয়েশিয়া যাচ্ছে। দালালরা অনেক সময় নকল ভিসা দিয়ে আপনাকে মালয়েশিয়া পাঠাতে পারে। ভিসা যদি আপনার সঠিক এবং বৈধ না হয় তাহলে আপনি মালয়েশিয়া যেতে পারবেন না। ভিসা চেক না করলে আপনাকে প্রতারনার শিকার হতে হবে। তাই আপনি ভিসা হাতে পাওয়ার পর অবশ্যই ভিসা চেক করে নিবেন। ভিসা ঠিক থাকলে আপনার মালয়েশিয়া যেতে কোনো অসুবিধা হবে না।

মালয়েশিয়া ই ভিসা চেক করার পদ্ধতি:

  • প্রথমত Malaysia e-visa Status পেইজটি ভিজিট করুন।
  • ওয়েব পেইজটির প্রথম ঘরে আপনার পাসপোর্ট নম্বর দিন।
  • দ্বিতীয় ঘরে অনলাইন ভিসা আবেদন কপি থেকে পাওয়া স্টিকার নম্বরটি দিন।
  • তৃতীয় ঘরে  ইমেজের লেখাগুলো লিখুন।
  • সবশেষে Check বাটনে ক্লিক করলে মালয়েশিয়া  ভিসার সকল তথ্য দেখা যাবে।

লেখকের শেষ বক্তব্য

মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং - মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা খরচ সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা প্রসেসিং - মালয়েশিয়া টুরিস্ট ভিসা খরচ সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে।

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন
comment url