ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চাইছেন? জানতে চান কিভাবে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলা যায়। তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ুন। আমরা আজকের আর্টিকেলে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি।

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

যদি আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চান, তাহলে আমাদের আজকের আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। আমরা আজকের আর্টিকেলে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম এবং তার সাথে একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে, একাউন্ট কত প্রকার, ব্যাংক লোন পদ্ধতিসহ ডাচ বাংলা ব্যাংক নিয়ে বেশ কিছু তথ্য আলোচনা করেছি। তো চলুন ডাচ বাংলা ব্যাংক নিয়ে বিস্তারিতভাবে জেনে নিন।

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম

বাংলাদেশের বেসরকারি খাতের ব্যাংক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ডাচ বাংলা ব্যাংক অন্যতম। ডাচ বাংলা ব্যাংক গ্রাহকদের নিরাপত্তার সাথে সেবা দিয়ে আসছে। এ ব্যংকটি যৌথ উদ্যোগে যাত্রা শুরু করেছিল। বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ড মিলে ১৯৯৬ সালে এ ব্যাংকটির যাত্রা শুরু করে। ডাচ বাংলা ব্যাংক এর ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পূর্ন নিরাপদ। তাই অনেক গ্রাহক এ ব্যাংকে লেনদেন করে থাকে এবং অনেকেই এ ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে আগ্রহী।

তবে যারা ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে চাইছে, তাদের মধ্যে অনেকের জানা নেই কিভাবে ডাচ বাংলা ব্যাংকের একাউন্ট খুলতে হয়। তাই জানতে হলে নিচের আলোচনাটুকু পড়ুন এবং জেনে নিন ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে।

ডাচ বাংলা ব্যাংক এ ৭ টি ক্যাটাগরিতে একাউন্ট আপনি খুলতে পারবেন। সেগুলো হলো-স্ট্যান্ডার্ড, এক্সেল সেভিংস একাউন্ট, সেভিংস ডিপোচিট প্লাস একাউন্ট, ডিবিবিএল স্কুল সেভার একাউন্ট, সুদ মুক্ত সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট, কারেন্ট ডিপোজিট একাউন্ট এবং বিশেষ নোটিশ জমা একাউন্ট। ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন কি কি লাগবে জেনে নিন-

  • আবেদনকারীর জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি।
  • একজন নমিনি দেওয়া লাগবে, যাকে নমিনি করবেন তার জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি। 
  • আবেদনকারীর পাসপোর্ট সাইজের ৪ কপি সদ্যতোলা রঙিন ছবি এবং নমিনির ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের রঙিন ছবি লাগবে।
  • কারেন্ট বিল, গ্যাস বিল, ইউটিলিট বিলের ফটোকপির প্রয়োজন হতে পারে।
  • কোনো ব্যাবসায়ী যদি একাউন্ট খুলতে চায়, তাহলে ব্যবসায়ীর ট্রেড লাইসেন্স প্রয়োজন হয়।

সাধারনত উপরের বলা কাগজপত্রগুলো ডাচ বাংলা একাউন্ট খুলতে প্রয়োজন। তবে এগুলো ছাড়াও আপনি কোন ক্যাটাগরিতে একাউন্ট খুলবেন সে অনুযায়ী কিছু কাগজপত্র ভিন্ন লাগে। তাই আপনি কোন ক্যাটাগরিতে একাউন্ট খুলতে চান, সেটি প্রথমে বাছাই করে নিবেন এবং সে অনুযায়ী তথ্য সংগ্রহ করবেন।

এসব তথ্য সংগ্রহ করার পর আপনি একাউন্ট খোলার জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংকের নিকটস্থ যেকোনো একটি শাখায় চলে যাবেন, সেখানে গিয়ে আপনি ব্যাংকের কর্মকর্তার সাথে দেখা করে  Account Opening Form সংগ্রহ করুন এরপর তারাই বলে দেবে একাউন্ট খুলতে আপনার কি কি করতে হবে। আপনি যদি নির্ভূলভাবে আপনার একাউন্ট খোলার কাজ সম্পন্ন করতে চান তাহলে ব্যাংকের শাখায় গিলে খোলায় নিরাপদ হবে।

তবে অনলাইনের মাধ্যমেও  খুব সহজে নির্ভুল একাউন্ট খোলা যায়। অনলাইনে ডাচ ব্যাংলা ব্যাংকের একাউন্ট খুলতে চাইলে ডাচ বাংলা ব্যাংকের ওয়েবসাইট বা অ্যাপে প্রবেশ করবেন, সেখানে কি কি তথ্য লাগবে বলা আছে। সে অনুযায়ী আপনাকে অনলাইন ফরম পূরন করতে হবে এবং সাবমিট করতে হবে। এভাবেই উপরের নিয়মগুলো ফলো করে খুলে নিতে পারবেন ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট।

আরো পড়ুন: সোনালী ব্যাংক ডিপিএস সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার কয়টি

বর্তমানে দেশ ও দেশের বাইরে লেনদেন করা সহজ হয়ে উঠেছে ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে। গ্রাহকদের শতভাগ নিরাপত্তা ও যথাযথ সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে ডাচ বাংলা ব্যাংক, যার কারনে এ ব্যাংক জনপ্রিয় ব্যাংকের তালিকায় রয়েছে। আপনি কি ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে চান, তাহলে একাউন্ট তৈরির সময় একটি ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার পেয়ে যাবেন। তবে সে ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার কয়টি হয় অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। নতুন একাউন্ট যারা খুলতে চাই অনেকেই প্রশ্নটি করে থাকেন। তো জেনে নিন ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার কয়টি।

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট যদি আপনি তৈরি করেন তাহলে আপনি যে একাউন্ট নাম্বারটি পাবেন সেটি ১৩ টি হয়ে থাকে। ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট নাম্বারের একটি ডেমো দেখে নিন- ডাচ বাংলা ব্যাংকের  একটি সেভিংস একাউন্টের ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার এর একটি ডেমো হলো: ১৩২১০৫০০২১৭৬৪। এটি ডাচ বাংলা ব্যাংকের ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার। এটি দেখলে বুঝে যাবেন ডাচ বাংলা ব্যাংকের একাউন্ট নাম্বার ১৩ টি হয়ে থাকে।

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে

ডাচ বাংলা ব্যাংক গ্রাহকদের বিশেষভাবে সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে, যার কারনে আমাদের মধ্যে অনেকেই এ ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে ইচ্ছুক। তবে একাউন্ট যারা খুলতে চাইছেন তাদের অবশ্যই জেনে নিতে হবে, ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে কত টাকা লাগে। তাহলে চলুন জেনে নিন বিস্তারিত।

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে সাধারনত আপনার কোনো খরচ হয় না বলা চলে। কারণ একাউন্ট খুলতে যে টাকাটা নেওয়া হয় সেটা আপনার একাউন্টে জমা হয়ে যায় যা আপনি পরবর্তীতে উঠাতে পারবেন। তবে কিছু ক্যাটাগরি রয়েছে যেগুলোতে একাউন্ট খুললে পরবর্তীতে টাকা ফেরত দেওয়া হয় না। ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খুলতে খরচ কত হবে  সেটা আপনি কি ধরনের একাউন্ট খুলতে চাইছেন তার ওপর নির্ভর করে হয়ে থাকে। জেনে নিন ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার সময় খরচের পরিমাণ কত হয়ে থাকে-

  • আপনি যদি সেভিংস ডিপোজিট স্ট্যান্ডার্ড একাউন্টের ক্ষেত্রে খরচ হবে ৫০০ টাকা। 
  • এক্সেল সেভিংস একাউন্ট যদি খুলতে চান তাহলে খরচ হবে ৫০০ টাকা। 
  • সেভিংস ডিপোজিট প্লাস একাউন্ট যদি খুলতে চান তাহলে খরচ হবে ৫ হাজার টাকা। 
  • ডিবিবিএল স্কুল সেভার একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে খরচ হবে ১০০ টাকা। 
  • সুদ মুক্ত সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে খরচ হবে ৫ হাজার টাকা।
  • কারেন্ট ডিপোজিট একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে খরচ হবে ১ হাজার টাকা। 
  • বিশেষ নোটিশ জমা একাউন্ট খোলার ক্ষেত্রে খরচ হবে ২ হাজার টাকা।

আরো পড়ুন: কর্মসংস্থান ব্যাংক লোন পদ্ধতি বিস্তারিত জানুন

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকার

আমাদের দেশে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনায় ডাচ বাংলা ব্যাংকের ভূমিকা রয়েছে। এছারাও এ ব্যাংক গ্রাহকদের নিরাপত্তার সাথে সেবা প্রদান করে থাকে। আপনি কি ডাচ বাংলা ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে চাইছেন? ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট আপনি খুলতে চাইলে, আপনার জেনে নিতে হবে ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট কত প্রকারের হয়ে থাকে।

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট সাধারণত দুই প্রকারের হয়ে থাকে। ১. ডাচ বাংলা ব্যাংক সেভিংস একাউন্ট ২. ডাচ বাংলা ব্যাংক স্টুডেন্ট একাউন্ট। তবে এগুলোর আওতায় মোট ৭ ধরনের একাউন্টে  সেবা প্রদান ডাচ বাংলা ব্যাংক দিয়ে থাকে। সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন-

সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট স্ট্যান্ডার্ড: আপনি যদি সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট স্ট্যান্ডার্ড একাউন্ট টি ডাচ বাংলা ব্যাংকে তৈরি করতে চান, তাহলে আপনাকে একাউন্টে ৫০০ টাকা জমা রাখার জন্য দেওয়া লাগবে। এর কম টাকায় এ একাউন্ট আপনি চালু করতে পারবেন না।   

সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট প্লাস: সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট প্লাস এ ক্যাটাগরিতে যদি আপনি একাউন্ট তৈরি করতে চান তাহলে মিনিমাম আপনাকে ৫০০০ টাকা জমা রাখতে হবে। এর কম টাকা দিয়ে এ ধরনের একাউন্ট আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংকে চালু করতে পারবেন না। তবে এ টাকা আপনার জমা থাকবে, পরবর্তীতে তুলতে পারবেন। 

এক্সেল সেভিংস একাউন্ট: ডাচ বাংলা ব্যাংকে যদি আপনি এক্সেল সেভিংস একাউন্ট খুলতে চান তাহলে একাউন্ট তৈরির জন্য ৫০০ টাকা আপনাকে প্রদান করতে হবে। এ টাকা আপনার জমা হিসেবে রাখা হবে এবং পরবর্তীতে তুলতে পারবেন না। 

ডিবিবিএল স্কুল সেভার্স একাউন্ট: ডাচ বাংলা ব্যাংকে যদি আপনি ডিবিবিএল স্কুল সেভার্স একাউন্ট খুলতে চান তাহলে ১০০ টাকা আপনার একাউন্ট চালু করার জন্য রাখতে হবে। এ একাউন্টে একটি বিশেষ সুবিধা হলো, কোনো প্রকার চার্জ প্রদান করতে হয় না। 

ইন্টারেস্ট ফ্রি সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট: ডাচ বাংলা ব্যাংকে যারা সুদ মুক্ত একাউন্ট খুলে রাখতে চান তাদের জন্য ইন্টারেস্ট ফ্রি সেভিংস ডিপোজিট একাউন্ট। বিশেষ করে ধর্মপ্রিয় মুসলিম ব্যাক্তিরায় এ ধরনের একাউন্ট খুলতে চায়। এ একাউন্টটি তৈরির জন্য ৫০০০ টাকা প্রদান করতে হয়, যা পরবর্তীতে তুলতে পারবেন না। 

কারেন্ট ডিপোজিট একাউন্ট: ডাচ বাংলা ব্যাংকে যদি আপনি কারেন্ট ডিপোজিট একাউন্ট তৈরি করতে চান তাহলে ৫০০ টাকা আপনাকে প্রদান করতে হবে। এছারাও প্রতিবছর একাউন্ট রক্ষণাবেক্ষণ, এটিএম কার্ড, এসএমএস এলার্ট ইত্যাদির জন্য নির্দিষ্ট পরিমাণে চার্জ দিতে হবে। 

স্পেশাল নোটিস ডিপোজিট একাউন্ট: ডাচ বাংলা ব্যাংকে যদি আপনি স্পেশাল নোটিশ ডিপোজিট একাউন্ট তৈরি করতে চান তাহলে আপনাকে আপনার ব্যালেন্সে ২০০০ টাকা জমা রাখতে হবে। এছারাও প্রতিবছর নির্দিষ্ট পরিমাণ চার্জ দেওয়া লাগবে। 

এ একাউন্টগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি একাউন্ট আপনার পচ্ছন্দ অনুযায়ী বাছাই করে তৈরি করতে পারবেন।

ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন পদ্ধতি

ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন পদ্ধতি

ডাচ বাংলা ব্যাংক গ্রাহকদের স্বল্প সুদে সহজ শর্তে লোন দিয়ে থাকে। এছারাও এ ব্যাংকের লোনে আরও সুযোগ সুবিধা রয়েছে এবং অল্প সময়ের মধ্যে যখন তখন লোন দেয় এ ব্যাংক। তাই অনেকেই এ ব্যাংকে লোন নিতে আগ্রহী।

ডাচ বাংলা ব্যাংকে লোন নিতে চাইলে, লোন নেওয়ার আগে অবশ্যই এ ব্যাংকের লোন পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া উচিত। অনান্য ব্যাংক থেকে যেমন লোন উত্তলন করা যায় তেমনি ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকেও লোন নিতে পারবেন। তবে জানতে হবে ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে। তো জেনে নিন ডাচ বাংলা ব্যাংক লোন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত।

ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে আপনি কয়েক ধরনের লোন নিতে পারবেন। যেমন-

  • পার্সোনাল লোন
  • স্যালারি লোন
  • বাইক লোন
  • ব্যবসা লোন
  • শিক্ষা লোন
  • হোম লোন
  • প্রবাসী লোন

পার্সোনাল লোন: পার্সোনাল লোন একটি ব্যাক্তিগত ঋন পদ্ধতি। এ লোন পদ্ধতি ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যাক্তিগত আর্থিক চাহিদা আপনি সহজেই মিটাতে পারবেন। যেকোনো পেশার মানুষ, নিজস্ব বাড়িওয়ালা, ব্যবসায়ীরা এ লোন নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবে। ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে পার্সোনাল লোন ৮% সুদের হারে ৫০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত নিতে পারবেন।  

স্যালারি লোন: ডাচ বাংলা ব্যাংক ৯% সুদে সর্বোচ্চ ২০ লক্ষ টাকা স্যালারি লোন দিয়ে থাকে। বিভিন্ন পেশার মানুষ যাদের বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তারা এ পদ্ধতিতে লোন নিতে পারবেন।

বাইক লোন: গাড়ি কেনার জন্য লোন যারা নিতে চাই, তাদের এ পদ্ধেিত লোন ডাচ বাংলা ব্যাংক দিয়ে থাকে। যাদের মাসিক আয় ৩০ হাজার টাকা এবং যাদের বয়স ১৮ এর উপরে তাদের এ লোন দেওয়া হয়। এ পদ্ধতিতে ৮% সুদে ৪০ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন ডাচ বাংলা ব্যাংক দিয়ে থাকে। 

ব্যবসা লোন: আপনার যদি বড় ব্যবসা করার ইচ্ছা থাকে এবং আর্থিক সমস্যার কারনে সেটা করতে না পারেন তাহলে ডাচ বাংলা ব্যাক থেকে এ লোন পদ্ধতিতে লোন নিয়ে আপনার ইচ্ছা সহজেই পূরণ করতে পারবেন। বাড়ির মালিক, যাদের মাসিক আয় ২০ হাজার এবং ডাচ বাংলা ব্যাংকের গ্রাহকরা এ ধরনের লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। ৮% সুদে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন এ পদ্ধতি পাওয়া যাবে। 

শিক্ষা লোন: শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পেছনে ব্যপক হারে খরচ হয়ে থাকে, যার কারনে পড়াশোনার খরচ চালাতে হিমশিম খেয়ে যায় মা বাবারা। ডাচ বাংলা ব্যাংকে শিক্ষা লোন নিয়ে খরচের চাপ কমাতে পারেন। ডাচ বাংলা ব্যাংকে ৮% সুদে স্টুডেন্টদের জন্য শিক্ষা লোন সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়। 

হোম লোন: আপনি যদি আপনার স্বপ্নের বাড়ি তৈরি করতে আর্থিক সমস্যার মধ্যে পড়ে যান, তাহলে ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে হোম লোন নিয়ে আর্থিক সমস্যা দূর করতে পারেন। বিভিন্ন পেশাজীবি, যাদের মাসিক আয় ৩০ হাজার এবং নিজস্ব বাড়ির মালিক তারা এ লোন পদ্ধতিতে আবেদন করতে পারবেন। ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে হোম লোন  ২ লাখ থেকে শুরু করে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত পাওয়া যায়। আপনি যদি ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে নতুন লোন নিয়ে থাকেন তাহলে ৭.৫০% সুদের হারে আপনাকে হোম লোন দেওয়া হবে। আর যদি আপনি অন্য ব্যাংক থেকে টেক অভার করেন তাহলে ৭% হারে এ লোন পেয়ে যাবেন। 

প্রবাসী লোন: যারা প্রবাসে যেতে চাইছে, প্রবাস থেকে ফিরে অথবা প্রবাসে গিয়ে আর্থিক সমস্যাই পড়ে তাদের প্রবাসী লোন দিচ্ছে ডাচ বাংলা ব্যাংক। ৭% বা ৭.৫% সুদে ডাচ বাংলা ব্যাংক প্রবাসী লোন ২ লাখ থেকে সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকা দিয়ে থাকে। 

উপরের বলা ক্যাটাগরিতে ডাচ বাংলা ব্যাংক গ্রাহকদের লোন দিয়ে থাকে। এর যেকোনো একটি বাছাই করে আপনি লোন নিতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনি যে ধরনের লোন নিতে চান সে অনুযায়ী আপনাকে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস প্রদান করতে হবে এবং লোনের জন্য ডাচ বাংলা ব্যাংকের নিকটস্থ কোনো একটি শাখায় গিয়ে আবেদন করতে হবে। তাহলেই খুব সহজেই লান আপনি ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে পেয়ে যাবেন।

আরো পড়ুন: বাংলাদেশে বিনা জামানতে ঋন দেয় কোন ব্যাংক

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করার নিয়ম

ব্যাংকে যাদের একাউন্ট রয়েছে তারা বিভিন্ন ব্যক্তিগত কারনে সেটা আর রাখতে চাই না, বন্ধ করতে চায়। যেকোনো ব্যাংকে একাউন্ট থাকলে সেটা যখন তখন বন্ধ করা যায়। ডাচ বাংলা ব্যাংকে যদি আপনার একাউন্ট থেকে থাকে, তাহলে সেটা খুবই সহজেই বন্ধ করে দিতে পারবেন। ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করতে নিচের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করুন।

ডাচ বাংলা ব্যাংকে আপনার একাউন্ট বন্ধ করতে ব্যাংকের নিকটস্থ কোনো একটি শাখায় চলে যাবেন। আপনার সাথে আনপার ভোটার কার্ড বা ড্রাইভিং লাইসেন্স নিবেন। সেখানে গিয়ে আপনি ব্যাংক কর্মকর্তাদের বলবেন যে আপনি আপনার একাউন্ট বন্ধ করতে চান, তারা একটি ব্যাংকিং ক্লোজিং ফর্ম দেবে সেটি পূরন করে ব্যাংকে জমা দিবেন।

এছারাও ব্যাংক একাউন্ট বন্ধের জন্য আবেদন লিখেও ব্যাংকে জমা দিতে পারেন। আবেদন পত্রের মাধ্যমেও ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ করা যায়। এভাবে সহজেই আপনি আপনার একাউন্ট বন্ধ করতে পারবেন, শুধু আপনাকে ব্যাংকের নিকটস্থ শাখায় যেতে হবে।

লেখকের শেষ বক্তব্য

ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করি ডাচ বাংলা ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনি এই ধরনের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ব্লগ পোস্ট নিয়মিত পড়তে চান তাহলে আপনাকে প্রতিনিয়ত আমাদের এই ওয়েবসাইট ফলো করতে হবে।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url